October 22, 2024, 11:34 am

সংবাদ শিরোনাম :
কয়রা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতির মতবিনিময় সভা  আন্তরজাতকি এয়ারট্রাফকি কন্‌ট্রালারূক্স ডে উদযাপন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামকে গ্রেফতার ১৯তম জাতীয় ফার্নিচার মেলা শুরু রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় কেশবপুরে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ৮৯ টি মন্ডপে  দুর্গা পূজা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হলো  ঋণখেলাপি তারেক চৌধুরী অপকর্মের শেষ কোথায়।অবৈধ ক্ষমতার দাপটে গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় তিন গৃহকর্মী গ্রেফতার, ৩১ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন বেবিচক চেয়ারম্যান প্রতি হিংসার শিকার বিএনপি নেতা কবির চৌধুরী  সংবাদ সংগ্রহ করতে হেনস্তার স্বীকার এশিয়ান টিভির স্টাপ রিপোর্টার ফরিদ আহমেদ নয়ন থানায় অভিযোগ

চীনের বাধায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে পার পেয়ে গেল মিয়ানমার

সারাদেশ ডেস্ক ॥

চীনের বাধার কারণে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার গণহত্যার মামলায় আইসিজের অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের আদেশ নিয়ে মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে নিরাপত্তা পরিষদ। তারা চেয়েছিল রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা বন্ধে মিয়ানমার যেন সবধরনের ব্যবস্থা নেয়, সেজন্য যৌথ বিবৃতি দিতে। কিন্তু মিয়ানমারের মিত্র চীনের বাধায় তা সম্ভব হয়নি। এতে বিরোধিতা করেছে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য ভিয়েতনামও।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো যৌথ বিবৃতি প্রচারের বিষয়ে একমত হতে না পারলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো আলোচনার পর একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সদস্য ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম ও এস্তোনিয়ার পাশাপাশি সাবেক সদস্য পোল্যান্ড আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) আদেশ মেনে চলতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওই পাঁচ দেশ বলেছে, আদালতের আদেশ মেনে চলার আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে মিয়ানমারের।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় এনে ‘বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ’ নেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইইউ বলেছে, রাখাইনের পাশাপাশি কাচিন, শান রাজ্যের সংঘাতের মূল কারণ উদঘান করে এর অবশ্যই সমাধান করতে হবে মিয়ানমারকে। মানবাধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এ প্রক্রিয়ারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের নিরাপত্তাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে নিধনযজ্ঞ চালানোর পর প্রাণে বাঁচতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বর্তমানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী জাতিগত নিধনের অভিপ্রায়ে এই অভিযান পরিচালনা করেছে। রোহিঙ্গা নারী-শিশুদের ধর্ষণ, হত্যা, বাড়ি-ঘরে জ্বালাও পোড়াওয়ের অভিযোগ উঠলেও দেশটির সেনাবাহিনী তা প্রত্যাখ্যান করেছে।

এই নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর আইসিজেতে মামলা করে গাম্বিয়া। মামলায় প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা ও সংঘাত আরও তীব্রতর না হওয়ার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় দেশটি।

আইসিজে তাদের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গারা গণহত্যার হুমকির মধ্যে রয়েছে। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন রাখাইনে সম্ভাব্য গণহত্যার যে আলামত পেয়েছে, তা পর্যালোচনা করে আইসিজে এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

অন্তর্বর্তী আদেশে আরও বলা হয়, রোহিঙ্গাদের অস্তিত্বের সুরক্ষা নিশ্চিতে কোনো প্রস্তাব দেয়নি মিয়ানমার। তাদের অবশ্যই জেনোসাইড কনভেনশন মেনে চলতে হবে এবং ভবিষ্যতে এমন হত্যাকাণ্ড যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

তবে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি বলেছেন, সংঘাত কবলিত রাখাইন রাজ্যে যুদ্ধাপরাধের ঘটনায় ন্যায় বিচার নিশ্চিতে মিয়ানমারের আরও সময় প্রয়োজন। মিয়ানমারের বিচার ব্যবস্থাকে নিজস্ব গতিতে পরিচালিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দিলেই কেবল রাখাইনের অপরাধের ন্যায় বিচার নিশ্চিত সম্ভব।

মঙ্গলবার ইইউ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণভাবে এবং টেকসই উপায়ে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন